Image description

প্রথম বেসামরিক বাংকার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাবলিক হাউজিং কমপ্লেক্স হল সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্মিত আবাসন। উত্তর কোরিয়ার হুমকি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিউল নগর সরকার রাজধানীর একটি পাবলিক হাউজিং কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে প্রথম বেসামরিক বাঙ্কার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

সোমবার সিউল মিউনিসিপ্যালিটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য ২০২৮ সালের মধ্যে কাজটি শেষ করা।

 
পৌরসভা ও সিউল হাউজিং অ্যান্ড কমিউনিটি কর্পোরেশন একযোগে ৯৯৯টি পরিবারের জন্য এই আশ্রয়কেন্দ্রের নকশা করেছে।

 

এটি পারমাণবিক, জৈবিক বা রাসায়নিক আক্রমণ সহ্য করার ক্ষমতা রাখবে। বহুতল হাউজিং কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে নির্মিত বাংকার আয়তন হবে ২ হাজার ১৪৭ বর্গমিটার (প্রায় ২ হাজার ৫৬৮ বর্গ গজ)।

এতে একসঙ্গে ১ হাজার ২০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সজ্জা থাকবে।

 
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি জে মিউং বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ঝুঁকি কমানোর সবচেয়ে বাস্তবসম্মত উপায় হলো পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ওপর স্থগিতাদেশ নিশ্চিত করা। তবে পিয়ংইয়ং এ ধরনের কূটনৈতিক প্রস্তাব আপাতত প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিউল শিনমুন প্রথম এই পরিকল্পনার সংবাদ প্রচার করে বলেছে, প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মধ্যেই এটি স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ।

সাম্প্রতি একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়া তাদের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে।

 
তাদের দাবি অনুযায়ী, এটি দক্ষিণ কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুর কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।

 

সূত্র : রয়টার্স