গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আগামীকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে চুক্তিটি। এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রশংসা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল-থানি। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করার সময় তাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন থানি।
তবে ট্রাম্পের এই দূত এর আগে কূটনীতিক হিসেবে কোনও সরকারি প্রশিক্ষণ পাননি। আর তার নিয়োগ ট্রাম্পের ঐতিহ্যবাহী আমলা এবং নীতিনির্ধারকদের প্রতি ঘৃণার প্রতীক; যাদের নিজস্ব ক্ষেত্রের দক্ষতার অভাব রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন; কিন্তু বেসরকারি খাতে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।
চলতি মাসেই এক সংবাদ সম্মেলনে উইটকফ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এমন লোক আছে যারা মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে সবকিছু জানে, কিন্তু তারা সঠিকভাবে কথা বলতে পারে না... তিনি একজন দুর্দান্ত আলোচক। ’
এই সংবাদ সম্মেলনেই ট্রাম্প তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ২০ জানুয়ারি তিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগে যদি গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত না করা হয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘জাহান্নাম ফেটে পড়বে’।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা ট্রাম্পের ডেডলাইনের কাছাকাছি এগিয়ে আসতেই স্টিভ উইটকফ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করতে যান।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদন মতে, উইটকফ বলেছেন, ট্রাম্প আশা করেছিলেন ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে এবং ‘নেতানিয়াহু যে বিষয়গুলিকে জীবন-মৃত্যুর সমস্যা বলে অভিহিত করেছিলেন... হঠাৎ করেই তা অদৃশ্য হয়ে গেল। ’
উইটকফ একজন রিপাবলিকান এবং একজন বিলিয়নার ইহুদি-আমেরিকান রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। তবে তার নরম ও সামান্য নাকি কণ্ঠস্বর একজন কঠোর সমালোচক হিসেবে তার খ্যাতিকে পেছনে ফেলেছে। তিনি ট্রাম্পের দীর্ঘ পুরোনো বন্ধু।