
ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা কেবল চীনেরই আছে বলে মন্তব্য করেছে পোল্যান্ড। দেশটি জানিয়েছে, রাশিয়ার ওপর বেইজিংয়ের গভীর প্রভাবই যুদ্ধবিরতির মূল চাবিকাঠি।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার মতো প্রভাব বিশ্বের একমাত্র শক্তি হিসেবে চীনেরই রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে পোল্যান্ড। ওয়ারশ ফোরামে পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকোর্সকি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এই যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি আনতে সক্ষম একমাত্র দেশ হলো চীন।”
তিনি বলেন, “রাশিয়া এখন এতটাই চীনের ওপর নির্ভরশীল যে বেইজিংয়ের হাতে কার্যকর চাপ প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো, তারা সেটা ব্যবহার করবে কিনা।”
সিকোর্সকি জানান, চীনা কর্মকর্তারা ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি বেইজিংকে কথার বাইরে গিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা ধারণায় মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে মহাদেশটি এমন এক ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে বাইরের শক্তির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই রক্ষার জন্য প্রস্তুত। আর আমি মনে করি, বিশ্বে অনেকেই ইতোমধ্যে বিষয়টি লক্ষ্য করেছে এবং শুনেছে।”
বারো রাশিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, এগুলো “অগ্রহণযোগ্য উসকানি”। তার ভাষায়, এসব পদক্ষেপ মূলত ফ্রন্টলাইনে রাশিয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
জ্যঁ-নোয়েল বারো জোর দিয়ে বলেন, “কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। কারণ এতে ইউরোপীয়দের মধ্যে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন আরও বেড়েছে।”
এদিকে জার্মানি, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়াকে ন্যাটো মিত্রদের বিরুদ্ধে “শত্রুতাপূর্ণ কার্যক্রম” বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা শান্তি রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি সতর্ক করে বলেছে, রুশ বাহিনীর আকাশসীমা লঙ্ঘন বিপজ্জনক উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।
অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এগুলোকে “রুশবিরোধী প্রচারণা” বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।