Image description
 

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেন সরকার ও ইইউ উভয়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে প্রলুব্ধ করছে। মূলত তারা বাইডেনের যুদ্ধকে ট্রাম্পের যুদ্ধে পরিণত করতে চায়।

বুধবার ইউক্রেন সংকট নিয়ে একটি দূতাবাসে এক গোলটেবিল বৈঠকে ল্যাভরভ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রকাশ্যেই রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নেওয়া সত্ত্বেও এখন জোর করে ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়ায় জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা স্পষ্টভাবে এবং বেশ বেপরোয়াভাবে আলোচনার টেবিলে নিজেদের জায়গা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সেখানে থাকার কোনো অধিকার নেই।

তিনি অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো প্রতিশোধপরায়ণ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং রাশিয়াকে কৌশলগত পরাজয়ের মুখে ঠেলে দিতে চায়। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনাও করছে তারা। 

রাশিয়া বারবার সতর্ক করেছে, পশ্চিমা কোনো সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠানো হলে সেটি বৈধ সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। মস্কো মনে করে, ন্যাটোর রাশিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারণই এ সংঘাতের অন্যতম কারণ।

গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাশিয়ার সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। গত আগস্টে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে (যেখানে ইইউ বা ইউক্রেন কেউই অংশ নেয়নি) উভয় পক্ষই বৈঠককে ‘খুব ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করে।

যদিও কোনো বড় ধরনের সাফল্য আসেনি, তবে পরবর্তীতে ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানান, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না এবং ২০১৪ সালে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারও সম্ভব নয়। এখন তিনি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বদলে স্থায়ী শান্তি চুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

সূত্র: আরটি