
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। দুর্নীতি, স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং পুলিশের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণ-বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। মূলত জেনারেল জেড তরুণদের নেতৃত্বে টানা দুই দিনব্যাপী দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে।
মঙ্গলবার নেপালি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলকে লেখা পদত্যাগপত্রে অলি বলেন, “দেশে বিরাজমান অসাধারণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পথ সুগম করার উদ্দেশ্যে আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নেপালের সংবিধানের ৭৬(২) ধারা অনুযায়ী ২০৭১ সালের সালের ৩১ আসরে (১৪ জুলাই, ২০২৪) আমাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যার সমাধানে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করতে আমি সংবিধানের ৭৭(১)(ক) অনুচ্ছেদের অধীনে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।”
অলির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের ইতি ঘটলো। এখন দেশবাসীর দৃষ্টি রাষ্ট্রপতি এবং সংসদের দিকে, যে তারা কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করে এবং পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করে।
উল্লেখ্য, সোমবার কাঠমান্ডুতে ফেডারেল পার্লামেন্ট চত্বরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৫০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কাঠমান্ডু উপত্যকা জুড়ে কারফিউ জারি করে এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। তবুও বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।