
নেপালে বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডু ও এর আশপাশের বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির ব্যক্তিগত বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেন। ঘটনাস্থল বলকটে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে সোমবারের প্রাণঘাতী ঘটনার দায় নিরূপণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
একই দিন নৈকাপ এলাকায় সদ্য পদত্যাগকৃত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাসভবনেও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। লেখক সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছিলেন। মঙ্গলবার তার বাড়ির সামনে বিপুল ভিড় জড়ো হয়ে সরাসরি বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরো বাসভবন ভস্মীভূত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এখনও বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী ওই বাড়ির সামনে অবস্থান করছে।
খবরে জানা যায়, বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ও গুলি চালানোর অনুমতি ছিল না। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে ঘটনাস্থলে গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে, সময় যতই গড়াচ্ছে, নেপালজুড়ে সহিংসতা ততই ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোড়া এবং অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
সূত্র: হিমালয়ান টাইমস