
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও ভারতীয় এজেন্টরা সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে একইভাবে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ফলাফল নিয়ে নতুন নেতৃত্বকে গ্রহণ করে নেবেন তারা।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জুলাই ঐক্য মনে করে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ডাকসুর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে যা আগামী দিনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনে মডেল হিসেবে থাকবে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সহযোগী সাংবাদিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহ করেছে জুলাই ঐক্য। যেখানে প্রতিটি কেন্দ্রে দু-একটি কথিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে।
ভোট গ্রহণ শেষে বিভিন্ন মাধ্যমে জুলাই ঐক্য জানতে পেরেছে, পরাজয় নিশ্চিত জেনে কিছু কিছু প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। জুলাই ঐক্য মনে করে যারা এসব কাজ করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তারা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। আধিপত্যবাদ যেভাবে হাসিনার মতো স্বৈরাচারকে তৈরি করেছিল তারাই বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ধ্বংস করতে চায়। ডাকসুর ভোট গ্রহণ বানচাল করতে না পারলেও ভারতপন্থীরা ফলাফল বয়কট কিংবা কথিত অপ্রমাণিত অভিযোগ সামনে এনে সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এই নির্বাচনের ফলাফল বানচালের মধ্য দিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায় ভারতপন্থীরা।
জুলাই ঐক্য চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল, সব সময় পাশে থাকবে। ডাকসুর সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিদেশি এজেন্সি এবং বাম বা যে কোনো ভারতপন্থী দল বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তা মোকাবিলা করা হবে।
আমরা দেখতে পারছি আজ সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। জুলাই ঐক্য মনে করে এসব অবস্থান ডাকসুর শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে শেষ সময়ে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত কঠোরভাবে এসব অবস্থানকারীদের দমন করতে হবে। অন্যথায় কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে সকল দায়ভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই বহন করতে হবে।