Image description

দক্ষতা-প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিদেশে পাড়ি জমান অনেক বাংলাদেশি। প্রতিকূল পরিবেশে শুরু হয় কঠিন প্রবাস জীবন। কেউ কেউ কয়েক বছরে অর্জন করেন কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা, কিন্তু ততদিনে শেষ হয়ে যায় ভিসার মেয়াদ।

 

মালয়েশিয়ায় হোটেল-রেস্টুরেন্ট খাতেই কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। লাখো বাংলাদেশি সেখানে কাজ করছেন। তাদের একজন নোয়াখালীর আকাশ মোল্লা। আড়াই বছর ধরে তিনি কুয়ালালামপুরের একটি খাবারের দোকানে কর্মরত। কলিং ভিসায় যেতে খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকা। তবে বেতন-ভাতা কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই।

চ্যানেল 24-কে আকাশ জানান, যারা কোম্পানির মাধ্যমে মালয়েশিয়া যান তাদের ঝামেলায় পড়তে হয় না। থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে মাস শেষে বেতন—সবই ভালোভাবে মেলে। এমনকি পুলিশি হয়রানির শিকারও হতে হয় না।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। তবে সবার পরিস্থিতি আকাশের মতো নয়। অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের নিয়মিত বেতন দেয় না। এতে নানা সংকটে দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসীরা। তাদের অভিযোগ, অধিকাংশ হয়রানির পেছনে দায়ী দালাল চক্র। যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রশিক্ষণবিহীন কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে বিদেশে।

এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মাসুদ খান বলেন, ‘দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা আছে, কিন্তু দক্ষ কর্মীর ঘাটতি প্রবল। বিদেশগামীদের প্রস্তুতি নিয়েই আসা উচিত।’

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান প্রবাসীদের দুর্দশার জন্য রাষ্ট্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘জেনেশুনেই প্রতিবার রাষ্ট্র এখানে অন্ধ থাকে। ফলে আমাদের কর্মীরা মালয়েশিয়া যাওয়ার নামে বারবার প্রতারিত হচ্ছেন।’