
যুক্তরাষ্ট্র সরকার তিনটি ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অভিযোগ, তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (ICC) সহায়তা করেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে।
যেসব সংগঠনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে তারা হলো— আল-হক, প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (PCHR) এবং আল-মেজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো ICC-কে তথ্য সরবরাহ করেছে, যার ভিত্তিতে আদালত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের তদন্ত শুরু করে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াওভ গালান্টের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দেয়। এর প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন বলছে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের শামিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “এই সংগঠনগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তকে সমর্থন করেছে, যা ন্যায়বিচারের বদলে পক্ষপাতিত্বকে উসকে দেয়।”
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা তিন মানবাধিকার সংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে পদক্ষেপটিকে “কাপুরুষতাপূর্ণ, অনৈতিক, অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক” বলে উল্লেখ করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা দমন করছে।
এর আগে, মার্কো রুবিও প্রশাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ জব্দের মতো পদক্ষেপও নিয়েছিল। সম্প্রতি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (PA) এবং ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (PLO)-র বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
প্রেক্ষাপট
গাজার সাম্প্রতিক সংঘাতকে ঘিরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, বেসামরিক মানুষের ওপর বিমান হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এসব অভিযোগ রাজনীতিকভাবে প্রভাবিত এবং ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করার কৌশল।