Image description
 

স্কোয়াডে নেইমার নেই। ভিনিসিয়ুস রদ্রিগোদের নিয়েও মাঠে নামেনি সেলেসাওরা। তবে ব্রাজিলের দায়িত্বটা যেন নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ‘মেসিনিও’ এস্তেভাও উইলিয়ানসহ বাকিরা। মেসিনিও গোলের খাতায় নাম লেখালেন, পুরো ম্যাচে আলো কেড়ে নিলেন। তাতেই ব্রাজিল করল গোল উৎসব, চিলিকে হারাল ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে।

 

চিলির বিপক্ষে নিজেদের মাঠ এস্তাদিও দে মারাকানায় এই ম্যাচ সেলেসাওরা শুরু করেছিল বল জালে জড়িয়ে। ম্যাচের ৪ মিনিটে কাসেমিরো এরপরও অবশ্য গোলের দেখা পাননি অফসাইডের কাটায়। 

তবে ৩৯ মিনিটে এস্তেভাওয়ের গোল ব্রাজিলকে শেষমেশ এগিয়ে দেয়। ব্রাজিলের জার্সিতে এটাই তার অভিষেক গোল। ৪৫ মিনিটে চিলির গিয়ের্মো মারিপানকে রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছিলেন রীতিমতো। তবে ভিএআর যাচাইয়ের পর সেটা হলুদ কার্ডে বদলে যায়। এরপর অবশ্য গুরুতর এক ফাউলের জন্য কাসেমিরোকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে। 

ব্রাজিল আর গোলের দেখা পায়নি। ‘মেসির’ ওই গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করেছে কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তবে তাকে খুব বেশি সময় আর মাঠে রাখেননি কার্লো আনচেলত্তি। ৬৬ মিনিটে তাকে তুলে নেন, তার জায়গায় নামান লুইজ এনরিককে।

সেই লুইজ এনরিকও আলো ছড়িয়েছেন যে টুকু সময় পেয়েছেন তাতেই। মাঠে আসার পাঁচ মিনিট পরই গোল করিয়েছেন লুকাস পাকেতাকে দিয়ে। ৭৬ মিনিটে ব্রুনো গিমারেশের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের। 

সেলেসাওরা বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছিল আগেই। তবে এই জয় তাদের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখার পথে আরও এগিয়ে দিল। ১৭ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট এখন ২৮, সমান ম্যাচে উরুগুয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা, তারা বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করবে শীর্ষে থেকেই।