Image description

তোমরা তালা দিবা, হাতাহাতি করবা, আবার ইলেকশন চাইবা—এটা মামার বাড়ির আবদার এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো কিছু হলে সেটা রাকসু নির্বাচনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এ জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘যদি ছাত্র সুলভ আচরণ, নিয়ম-কানুনের ভেতরে তোমরা থাকতে না পারো, তোমরা নিজেদের রাকসুর অযোগ্য বলে প্রমাণ করছো।তোমাদের যোগ্যতার পরিচয় তোমরা দেবে না তো আমি সালেহ হাসান নকীব দেব নাকি?’ 

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি নিজে খুশি হতাম, যদি সম্পূর্ণ আমাদের সামর্থ্য ও আমাদের ভেতরে যে সৌন্দর্য আছে, সেটা দিয়েই রাকসু নির্বাচন হয়ে যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, এখানে অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। আমি পার্সোনালি মনে করি, এ ধরনের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে যদি সেনাবাহিনী পর্যন্ত চলে আসে, তাহলে এটা আমাদের ছাত্রসমাজসহ সবার জন্য একটা কষ্টকর ব্যাপার।’

নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যদের প্রশংসা করে বলেন, ‘ওই দিন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং তাঁদের সম্পর্কে যে কথাবার্তা এসেছিল, যে ভাষায় স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল, যারা আছেন তাঁদের প্রশংসা করি। তারা প্রত্যেকে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ এবং অসম্ভব আত্মসম্মানবোধ আছে তাদের। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে উনারা দায়িত্ব ছেড়ে দেননি।’

এর আগে গত রবিবার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তাঁরা চেয়ার ভাঙচুর, টেবিল উল্টে দেওয়া ও ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

পরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে সেখানে যান। এতে কয়েক দফা ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা রাকসু ভবনের ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন। চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুপুর ২টার দিকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়।পরে মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় একদিন বাড়ানো হয়।