
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে অন্তত ৮টি যুদ্ধজাহাজ এবং প্রায় ১২০০টি মিসাইল মোতায়েন করেছে। তার দাবি, এ সামরিক প্রস্তুতির মূল উদ্দেশ্য হলো ভেনেজুয়েলার সরকার পতন ঘটানো।
তবে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নৌবহর মোতায়েনের কারণ কেবল মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ। কিন্তু মাদুরোর মতে, মাদক বিরোধী অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র আসলে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে।
মাদুরোর বক্তব্য
রাজধানী কারাকাসে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো বলেন:
“সামরিক হুমকি দেখিয়ে তারা সরকার পরিবর্তন চাইছে। ভেনেজুয়েলা গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখোমুখি। আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১২০০ মিসাইল এবং সাবমেরিন দিয়ে দেশটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উপকূলীয় অঞ্চল ও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে আহ্বান জানান তিনি।
ওয়াশিংটনের অবস্থান
ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো সরাসরি মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদকবিরোধী সামরিক অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েনকৃত নৌবহর
বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর অন্তত চারটি বড় জাহাজ ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থান করছে:
ইউএসএস গ্রাভলি (USS Gravely) – Aegis গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার
ইউএসএস জেসন ডানহাম (USS Jason Dunham) – Aegis গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার
ইউএসএস স্যাম্পসন (USS Sampson) – ডেস্ট্রয়ার
ইউএসএস লেক এরি (USS Lake Erie) – ক্রুজার
ওয়াশিংটন সূত্রে জানা গেছে, সামনের দিনগুলোতে এ অঞ্চলে আরও যুদ্ধজাহাজ ও সেনা মোতায়ন বাড়ানো হতে পারে।
বিতর্কিত অভিযোগ
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে একাধিকবার মাদুরোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠী ও মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিল। তবে এ পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রকাশ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।