
রাশিয়া থেকে তেল কেনার অভিযোগে গত মাসের প্রথম দিকে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি শুল্ক পৌঁছেছে ৫০ শতাংশে। গত ২৭ আগস্ট থেকে বর্ধিত এই শুল্ক কার্যকরও হয়েছে।
এই পরিস্থিতি নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপে বিকল্প বাজার খুঁজছে ভারত। তাই সেখানেও ভারতকে চাপে ফেলতে ফাঁদ তৈরি করার চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ভারতীয় পণ্যের ওপর ওপর অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনেয়নের (ইইউ) সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সিওসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় যে ইইউ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বৃদ্ধি করুক, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং গ্যাস ক্রয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখুক। সেই সঙ্গে রাশিয়া থেকে তেল কেনার দায়ে ভারত ও চীনের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করুক।
গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন— ইউক্রেনের এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি চেয়েছিলেন। পুতিনের এই শর্তে রাজি আছেন ট্রাম্প, কিন্তু ইইউ নেতারা এ শর্তে এখনও সম্মত হননি। এতে অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এক্সিওসকে বলেন, ইইউ নেতারা চায় এই অযৌক্তিক যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক এবং লম্বা সেই যুদ্ধের ব্যয় যুক্তরাষ্ট্র নির্বাহ করুক। একদিকে তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, অন্যদিকে ভারত ও চীনের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনছে।
সূত্র: এক্সিওস।