Image description
 

যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কের চাপের মুখেই বাৎসরিক সম্মেলনে অংশ নিতে জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে মোদি বলেছেন, ‘ভারতে আসুন। পণ্য তৈরি করুন। বিশ্বের জন্য পণ্য উৎপাদন করুন।’

 

ভারত-জাপান যৌথ ইকোনমিক ফোরামে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাপান। মেট্রোরেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর থেকে স্টার্টআপ— সবখানেই জাপানের সহযোগিতা রয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের একাধিক সংস্থার।’

 

 

ধারণা করা হচ্ছে, এ সফরে জাপান ও ভারতের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেবেন নরেন্দ্র মোদি। মূলত বিরল খনিজ সম্পদের অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করবে উভয় দেশ। আলোচনা হবে ভারতের উচ্চমূল্যের বিনিয়োগ খাতে জাপানের বিনিয়োগ নিয়েও।

 

 

এদিকে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোটের কাঠামো অনুসারে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করবেন উভয় দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

মোদির এ সফর ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে কোয়াড জোটকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দুদিনের সফরে ৩১ অগস্ট চীনে এসসিও(SCO) সামিটে যোগ দেবেন মোদি। সেখানে থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তার আগে মোদির জাপান সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।