Image description
 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফর করেছেন। তার এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষণ দেখা গেছে। চীনা সংবাদমাধ্যম এই সংযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে, কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর জন্য লাভজনক হবে।

এখানে গ্লোবাল সাউথ বলতে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বোঝানো হয়।

চীনের সরকারি গণমাধ্যমও ওয়াং ই-র ভারত সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। ইংরেজি দৈনিক ‘চায়না ডেইলি’ তে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ওয়াং ই-র ভারত সফর করেছেন।

 

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, “মার্কিন প্রশাসন যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে শুল্ক-যুদ্ধ শুরু করেছে, তখন ভারত বুঝতে বাধ্য হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তারা শুল্ক থেকে রক্ষা পায়নি।”

 
 

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে, ফলে মার্কিন শুল্কের চাপের মুখোমুখি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কৌশলগত স্বাধীনতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে, যাতে তারা কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে এবং নীতিগত নমনীয়তাও বজায় রাখতে পারে।”

 

ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ লিন মিনওয়াং বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিক খুঁজছে। চীন এই সম্পর্ককে স্বাগত জানাবে, তবে জাতীয় স্বার্থে কোনো ছাড় দেবে না।”

চীনের সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত এশিয়ার বাজারের দিকে ঝুঁকছে, কারণ আমেরিকার বাজারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ক্রমবর্ধমান শুল্কের কারণে দেশটির জন্য দুর্বলতা তৈরি করেছে।

সংক্ষেপে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমিত সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করছে, যা দেশটির বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।