
ভারতের বিহারের খানকাহ রহমানি মসজিদে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উপস্থিতি তাঁর প্রয়াত বাবা ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর একটি পুরোনো স্মৃতিকে নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে। চার দশক আগে যে জায়গায় বসেছিলেন রাজীব, আজ শুক্রবার (২২ আগস্ট) সেখানে একইভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে রাহুলকে।
১৯০১ সালে মাওলানা মোহাম্মদ আলী মুঙ্গরি প্রতিষ্ঠিত খানকাহ রহমানি শুধু সামাজিক সংস্কারের কেন্দ্র নয়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এ মসজিদটির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধীর মতো বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এখানে গেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীদের সহায়তাও করেছিল এই খানকাহ।
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের প্রতি জনসমর্থন বাড়াতে রাজ্যে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। যাত্রার ষষ্ঠ দিনে আজ শুক্রবার তিনি বিহারের জামালপুরে পৌঁছে এই ঐতিহাসিক মসজিদে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁরা স্থানীয় মাওলানার সঙ্গে দেখা করেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে খানকাহ রহমানির সম্পর্ক কয়েক দশক পুরোনো। রাজীব গান্ধী ১৯৮৫ সালে এখানে এসেছিলেন। শুক্রবার সকালে তাঁর ছেলে রাহুলকে ঠিক সেই জায়গাতেই বসে থাকতে দেখা যায়, যা চার দশক আগে রাজীব গান্ধীর স্মৃতি ধরে রেখেছে।
মসজিদটিতে একটি শিক্ষা বিভাগও রয়েছে, যা ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে রহমানি ফাউন্ডেশন এটি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত প্রকৌশলী ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখানো শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি এখানে উন্নত শিক্ষার জন্য স্মার্ট ক্লাসেরও ব্যবস্থা রয়েছে।