
ভারতের হায়দারাবাদে শতাব্দী প্রাচীন মাদরাসা, মাদরাসায়ে নূমানিয়া বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উগ্র হিন্দুত্বাবাদী সংগঠনগুলো। মাদরাসাটি প্রায় ৪০০ বছর পুরনো। গত সাত বছর ধরে এটি মসজিদ-ই-হুসাইনীতে পরিচালিত হচ্ছে, যা কুতব শাহি যুগের প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মুসলিম মিরর।
মজলিস বচাও তেহরিক (এমবিটি) এর মুখপাত্র আমজাদউল্লাহ খান বলেছেন, এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ শহরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করার পরিকল্পিত চেষ্টা।
তিনি বলেন, “হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো মাদরাসাটি বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে, যা বহু বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “বালাপুর পুলিশ নিরব থেকেছে এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো দুই ঘণ্টা ধরে উস্কানিমূলক স্লোগান দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”
বিক্ষোভকারীরা মাদরাসা পরিচালনাকে “বহিরাগত” শিক্ষার্থী ভর্তি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ছাত্ররা স্থানীয় এবং কোনো বহিরাগত ভর্তি করা হয়নি।”
মাদরাসায় নিয়মিত ক্লাসে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং বেশ কিছু শিক্ষক কাজ করছেন। মাদরাসা বন্ধের দাবির কারণে তারা নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কিত।
বিক্ষোভ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলায় স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্ত। তারা অভিযোগ করেছেন যে, এই গোষ্ঠীগুলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা বলছেন, “শুধু বিক্ষোভের কারণে মাদরাসা বন্ধ করা উচিত নয় এবং পুলিশকে এই গোষ্ঠীর পাশে থাকা ঠিক নয়।”
সূত্র: মুসলিম মিরর