Image description

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধে এখনো শান্তি আনার জন্য প্রস্তুত মনে হচ্ছেন না। তিনি উল্লেখ করেছেন, কোনো শান্তি চুক্তি হলে তা কিয়েভকে দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার সঙ্গে সমর্থিত হতে হবে।

 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‌‘পরিস্থিতি ও বাস্তবতা দেখলে আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট পুতিন এখন শান্তি আনার জন্য খুবই ইচ্ছুক নন। তবে হয়তো আমি একটু অতিরিক্ত নেগেটিভ ভাবছি’।

তিনি ট্রাম্পের সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি সম্পর্কে আশাবাদকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, যদি তিনি মনে করেন যে চুক্তি সম্ভব, তা চমৎকার খবর। আমরা আমাদের সবটা করতে হবে একটি সফল চুক্তি আনার জন্য।

ম্যাক্রোঁ জোর দিয়ে বলেছেন, যদি শান্তি আলোচনায় ব্যর্থতা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মস্কোর ওপর চাপ ও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে হবে।

ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘রাশিয়ানরা যদি এই পন্থা মানতে না চায়, তাহলে হ্যাঁ, আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, “রাশিয়া হলো আগ্রাসী। এরা মানুষ হত্যা করেছে, শিশু চুরি করেছে এবং যুদ্ধবিরতি অস্বীকার করেছে। তাই আমরা কেবল ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারি না।’

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউক্রেনকে অবশ্যই এমন বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন রোধ করা যায়। নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো শান্তি চুক্তি করলে, রাশিয়া কখনও তার কথা মানবে না, তার প্রতিশ্রুতি পালন করবে না’।

এছাড়া, ম্যাক্রোঁ উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেনের ভূ-অঞ্চল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া শুধুমাত্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও জনগণের বিষয়।

হোয়াইট হাউসে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দের লেইয়েন, ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

তিনি সতর্ক করেছেন, এই সংঘাতের প্রভাব শুধু ইউক্রেনেই সীমাবদ্ধ নয়।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘যা হচ্ছে তা ইউক্রেনের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি ইউরোপের নিরাপত্তার জন্যও। আমরা এমন এক পারমাণবিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, যা আন্তর্জাতিক সীমানা অমান্য করছে। আমাদের আচরণ ইউক্রেনে হবে বিশ্বব্যাপী আমাদের সম্মিলিত বিশ্বাসযোগ্যতার পরীক্ষাও’।