Image description
 

আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তবে তারা কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নও নেননি। সাধারণত বাকপটু ট্রাম্পও রিপোর্টারদের চিৎকার করে করা প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহুল প্রতীক্ষিত শীর্ষ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো বা সমাধানের কোনো চুক্তি হয়নি। তবে দুই নেতা বৈঠককে ফলপ্রসূ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।

আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তবে তারা কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নও নেননি। সাধারণত বাকপটু ট্রাম্পও রিপোর্টারদের চিৎকার করে করা প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

‘শান্তির পথে’ লেখা ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। চুক্তি তখনই চুক্তি, যখন সেটা বাস্তবে হয়।‘

 

প্রাথমিকভাবে এ বৈঠক থেকে ইউরোপের গত ৮০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত থামানোর জন্য কোনো অর্থবহ পদক্ষেপ বের হয়নি। যদিও শীর্ষ সম্মেলনের আগে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যকেই স্থির করেছিলেন।

 

কিন্তু শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখোমুখি বসাকেই পুতিনের জন্য একধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর পশ্চিমা নেতারা পুতিনকে বয়কট করে রেখেছিলেন।

বৈঠকের পর ট্রাম্প ফক্স নিউজের শন হ্যানিটিকে বলেন, পুতিনের সঙ্গে অগ্রগতি হওয়ার কারণে তিনি আপাতত চীনের ওপর রাশিয়ার তেল কেনার জন্য শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্কের মুখে পড়েছে ভারত।

ট্রাম্প বলেন, ‘আজ যা হয়েছে, তাতে আমাকে এখনই এটা (চীনা শুল্ক) নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। হয়তো দুই বা তিন সপ্তাহ পরে ভাবতে হবে, কিন্তু এখনই নয়।‘

ফক্স নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরো জানান, এখন পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন হতে পারে, যেখানে তিনি নিজেও থাকতে পারেন। তবে কে এই বৈঠক আয়োজন করছে বা কবে হতে পারে—এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি।

পুতিন অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কোনো উল্লেখ করেননি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা মার্কিন-রাশিয়া আলোচনার ফলাফলকে ইতিবাচকভাবে নেবে এবং অগ্রগতি ব্যাহত করার চেষ্টা করবে না।

তিনি আবারও মস্কোর দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন— সংঘাতের তথাকথিত ‘মূল কারণগুলো’ দূর না করলে স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। অর্থাৎ, তিনি যুদ্ধবিরতিতে আপাতত অনমনীয় রয়েছেন।

এ বৈঠক নিয়ে কিয়েভ থেকে সঙ্গে সঙ্গেই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক ছিল এটি।

হ্যানিটির প্রশ্নে জেলেনস্কিকে তিনি কী পরামর্শ দেবেন, তার উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি করতে হবে। দেখুন, রাশিয়া একটি বিশাল শক্তি, আর তারা (ইউক্রেন) সেটা নয়।‘