
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা নিশ্চিত করে বসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘শেখ হাসিনা পালায় না’, কিন্তু এই কথা বলার দুদিন পরই ছাত্র-জনতা লড়াই করে তাকে পালাতে বাধ্য করেছে।
শনিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক গণসংলাপ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই বিরাট অর্জন যাতে আবার বেহাত না হয়, সেজন্য তরুণদেরকে পাহারাদারের ভূমিকায় থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত তরুণ ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের রক্ত দিয়ে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তার তুলনা কঠিন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৫৪ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলো সাম্য ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বুলি আওড়ালেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। কোটা আন্দোলনে পুলিশ দিয়ে গুলি করে আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে গুম, খুন ও ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের শক্তির ওপর ভর করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে মব সন্ত্রাস চলছে এবং খুনিরা মাথা উঁচু করার চেষ্টা করছে। জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার বারবার বিচারের দাবি জানালেও কোনো বিচার হচ্ছে না।
সাকি বলেন, জনগণ যদি এখন ঘরে ফিরে যায়, তাহলে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আব্দুল মোত্তালিব পাপ্পু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাচ্চু ভূঁইয়া, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ শিশির, সাকিরুল ইসলাম শাকি এবং মোহাম্মদ হৃদয় হাসান স্বাধীন।