Image description

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ দাবি করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এসময় ট্রাম্প বলেন, প্রায় একই রকম পরিস্থিতি চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও। তবে যতক্ষণ আমি প্রেসিডেন্ট, ততক্ষণ এমন কিছু হবে না বলে আমি মনে করি। দেখা যাক।

তিনি আরও যোগ করেন, প্রেসিডেন্ট শি আমাকে বলেছেন, ‘আপনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় আমি এটা কখনোই করব না’। আমি তাকে বলেছি, ‘এটা আমি স্বাগত জানাচ্ছি’। তবে তিনি আরও বলেছেন, ‘চীন খুব ধৈর্যশীল’।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর গত জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক ফোনালাপ হয়। এর আগে এপ্রিলে ট্রাম্প বলেছিলেন, শি তাকে ফোন করেছিলেন, তবে কবে তা হয়নি স্পষ্ট।

চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার কথা বারবার জানিয়ে এসেছে। অন্যদিকে, স্বশাসিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত তাইওয়ান নিজেদের ‘স্বতন্ত্র দেশ’ দাবি করে আসছে।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীন দূতাবাস শুক্রবার আবারও তাইওয়ান ইস্যুকে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।

দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গিউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এক চীন নীতি ও দুই দেশের মধ্যে হওয়া যৌথ ঘোষণা মেনে চলা, তাইওয়ান ইস্যুতে সতর্ক থাকা এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখা।

ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী ও আন্তর্জাতিক মিত্র হলেও, বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো তাদেরও দ্বীপটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।