
ছাড়া পেলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কংগ্রেসের নেতারা। সোমবার সকালে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে পুলিশ। খবর আনন্দবাজারের।
মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছিলেন তারা। সে সময় তাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। বিরোধী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
নয়াদিল্লি পুলিশের ডিসিপি দেবেশ কুমার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩০ জন সংসদ সদস্যকে বৈঠকের অনুমতি দিয়েছিল। তবে, সংসদ সদস্যদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’
বিহারের এসআইআর ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার জালিয়াতির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি ছিল বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের। সকালে পার্লামেন্ট ভবন থেকে নির্বাচন কমিশন ভবনের দিকে মিছিল শুরু হয়। ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ আরো কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটক হওয়ার পর রাহুল গান্ধী বলেন, 'এই লড়াই রাজনৈতিক নয়। এটা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। এখানে কারো কথা বলার অধিকার নেই। কথা বলেলই আটক। আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকার লড়াই চালিয়ে যাবই।'
তৃণমূল সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব বলেন, ‘আজ বিরোধী জোটের প্রত্যেক সাংসদ নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রতিবাদ করতে নেমেছেন। কারণ, যারা দেশের নাগরিক, তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে কমিশন।’
পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিরোধী দলীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করছে এবং তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করা হচ্ছে।