
ইসরায়েলের তেল আবিবে শনিবার রাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নতুন গাজা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। তারা প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ অবসান ও অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তির দাবি তোলেন।
এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছিল, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে জনমত তীব্রভাবে বিভক্ত এবং সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে যে, এ পদক্ষেপ জিম্মিদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
গাজায় জিম্মি ওমরি মিরানের স্ত্রী বলেন, এটি শুধু সামরিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলিদের বিপুল সংখ্যা মানুষ অবিলম্বে যুদ্ধ থামিয়ে গাজায় বাকি ৫০ জন জিম্মির মুক্তির পক্ষে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন এখনও জীবিত।
ইসরায়েলের যুদ্ধ বিস্তারের ঘোষণা দেশ-বিদেশে, এমনকি ইউরোপের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার অনুমোদন রোববারের মধ্যেই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত যে জিম্মিরা মুক্তি পেয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অচলাবস্থার কারণে আরও জিম্মি মুক্তির সুযোগ হারিয়ে যায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স