Image description

থলের বেড়াল অবশেষে বেরিয়ে এসেছে। যে তথ্য এতদিন গোপন ছিল, তা এখন প্রকাশ্যে—এবং এর প্রভাব মারাত্মক। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত একদফা যুদ্ধ নিয়ে নতুন দাবি উঠেছে—ভারত নয়, বরং ইসরাইলই পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ভারতের ছদ্মবেশে।

অভিযানটির নাম অপারেশন সিদুর। ভারত এই অভিযানের কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করলেও ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র ছিল প্রায় সবই ইসরাইলি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরাসরি প্রশংসা করেছেন এই অভিযানে ব্যবহৃত ইসরাইলি অস্ত্রের। তিনি বলেন, “যা দিয়েছি, তা মাঠে অসাধারণ কাজ করেছে। আমাদের অস্ত্র বাস্তব যুদ্ধে পরীক্ষা করা হয় এবং এগুলো দুর্দান্তভাবে কাজ করেছে।”

অভিযানে ভারতীয় সেনারা ব্যবহার করেছে ইসরাইলি বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র এবং হারপি ড্রোন। ভারতের দাবি, প্রায় ১০০ ঘণ্টা ধরে পাকিস্তানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে তারা। হারপি ড্রোন বিশেষভাবে শত্রুর রাডার ধ্বংসে পারদর্শী। এর উন্নত রাডার সেন্সর শত্রুর রেডিয়েশন সিগন্যাল শনাক্ত করলেই দ্রুত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। দিন বা রাত—দুই সময়েই এটি সমান কার্যকর এবং টানা ৯ ঘণ্টা আকাশে টহল দিতে সক্ষম।

অন্যদিকে, ইসরাইল-ভারত যৌথ উদ্যোগে তৈরি বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুর বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র—সবকিছুর বিরুদ্ধে একই সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ, বহু লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের ক্ষমতা এবং ১০০ কিলোমিটার দূরের হুমকি প্রতিরোধের সামর্থ্য ভারতীয় বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। এটি মাটি বা যুদ্ধজাহাজ—দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য।

তবে বিশ্লেষকদের দাবি, এর নেপথ্যে আছে আরও বড় ও ভয়ঙ্কর চক্র। সম্ভবত ভারতের কাঁধে ভর করে পাকিস্তানকে দুর্বল করার মিশনে নেমেছে ইসরাইল। এমনকি অপারেশন সিদুরে সরাসরি ইসরাইলি পাইলটদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, ইসরাইল হয়তো মোসাদের মত গুপ্তচর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পাকিস্তানকে ধীরে ধীরে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে ইসরাইলি প্রভাব, যেখানে ভারতই হতে পারে মোসাদের আঞ্চলিক সদরদপ্তর।