Image description
 

ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কার্যত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে চীন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও গোপন সামুদ্রিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইরান থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে বেইজিং। বন্ধুর পাশে থাকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ২০১৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে ইরান, যার সর্বশেষ দফায় মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ৫০ জন ব্যক্তি, ৫০টি প্রতিষ্ঠান এবং ৫০টি তেলবাহী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার ছেলে হোসেন শামখানিও। লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ১লা আগস্টের এক প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান মূলত তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছে সামরিক ও প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধির জন্য। এ কারণে ইরানের সঙ্গে যেকোনো দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে শত্রুতাপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন প্রশাসন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো হুমকি দিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষ লেনদেনে জড়ালে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে।

তবুও, এসব হুমকি উপেক্ষা করে বেইজিং ইরানের সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজ। তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, চীনগামী বেশ কয়েকটি তেলবাহী জাহাজ মালয়েশিয়ার রিয়াও দ্বীপপুঞ্জের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা বন্ধ করে গোপনভাবে ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে। মাত্র একদিনেই এমন ১২টি ঘটনার তথ্য পেয়েছে সিবিএস নিউজ, যা থেকে বিশ্লেষকদের ধারণা, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ করেছে চীন।

 

প্রসঙ্গত, ইরানের রপ্তানিকৃত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ৯০ শতাংশই কিনে চীন। ফলে তেহরানের জন্য বেইজিং একটি অপরিহার্য বাণিজ্যিক অংশীদার।

 

এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় দেশগুলো। ইতোমধ্যেই ফ্রান্স থেকে এসেছে সরাসরি হুমকি। তবে ইউরোপের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা চীন-ইরান সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।