
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে চাসিভ ইয়ার শহরটি দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। প্রায় ১৬ মাসের তীব্র লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার মস্কো এ সাফল্যের দাবি করলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার এই অগ্রগতিরদাবি সত্য হলে, তা হবে ডনেস্ক অঞ্চলে মস্কোর জন্য একটি বড় কৌশলগত অর্জন। এর ফলে ইউক্রেনের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা শহর কস্তিয়ান্তিনিভকা, স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্ক অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেও চাসিভ ইয়ারের আশপাশে রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ওপেনসোর্স-ভিত্তিক ইউক্রেনীয় মানচিত্রভিত্তিক সাইট ডিপস্টেট-এর তথ্য অনুযায়ী, শহরটির পশ্চিমাংশ এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চাসিভ ইয়ারের জন্য লড়াই শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। ওই সময় রুশ প্যারাট্রুপাররা শহরের পূর্ব প্রান্তে পৌঁছে যায়। সে সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, রুশ সেনারা শহরের ভেতরে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বারবার ফোন করে হুমকি দিচ্ছিলেন। অন্যথায় বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই শহরের যুদ্ধের আগে জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার। এখানে ছিল একটি রিইনফোর্সড কংক্রিট পণ্য এবং ইট তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনের কারখানা। এর ওপর নির্ভর করে শহরের অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল।
চাসিভ ইয়ার শহরটি বাখমুতের পশ্চিমে অবস্থিত। ২০২৩ সালে রাশিয়া দীর্ঘ ও রক্তাক্ত যুদ্ধের পর বাখমুত দখল করেছিল।
ডনবাস অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাশিয়া একের পর এক শহর দখলের চেষ্টা করছে। চাসিভ ইয়ার দখলের মধ্য দিয়ে মস্কো তাদের অভিযানকে নতুন গতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।