
আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে পর্তুগাল। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এবং প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজার সাথে পরামর্শ করবেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
গাজা যুদ্ধের বিষয়ে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা এরইমধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পর্তুগাল হলো সর্বশেষ পশ্চিমা দেশে যারা ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আলোচনা করছে।
পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেশটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির কথা বিবেচনা করছে।’
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ এরইমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালে ফিলিস্তিন জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পায়। এই মর্যাদার ফলে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের বেশিরভাগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে কোন প্রস্তাবে ভোট দিতে পারেনা।
বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত সপ্তাহেই আরো তিনটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এই তিনটি দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশ তিনটি।
প্রথমে ফ্রান্স জানায়, তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এরপর যুক্তরাজ্য ও কানাডাও ফ্রান্সের সঙ্গে যোগ দিয়ে জানায়, তারাও একই পরিকল্পনা করছে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজায় হামাসের সাথে ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
কানাডাও একই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো-ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।