Image description

স্বপ্নের ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে নির্মম মৃত্যু। অবৈধ রুটে ইউরোপে প্রবেশে ব্যর্থ অভিবাসীদের বিশাল সমাধিক্ষেত্র ছড়িয়ে আছে ইতালি, গ্রিস’সহ বিভিন্ন দেশে। নাম-পরিচয় জানতে না পারায় তাদের সমাধির এপিটাফে শুধু লেখা হয় ‘অভিবাসী’। যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও পরিচয় থেকে যায় অজানা।

নি:সঙ্গ কবরস্থানে মৃতের আত্মার শান্তিতে মোনাজাত ধরেছেন ৭৩ বছর বয়সী মেহমেত শরীফ দামাদোগলু। গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এভরস অঞ্চলের একটি পাহাড়ের চূড়ার অবস্থিত এই কবরস্থানে দাফন করা হয় অবৈধ অভিবাসীদের।

স্থলপথে ইউরোপ প্রবেশের রুট হিসেবে পরিচিত গ্রিস-তুরস্ক সীমান্তবর্তী এভরস বর্ডার। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর তথ্য মতে, সীমান্তে ধরা পড়ে ও বিশাল এভরস নদীতে ডুবে গেলো ১১ বছরে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। এই হতভাগ্য অবৈধ অভিবাসিদেরই শেষ ঠাই মেলে নির্জন এই স্থানে। যাদের বেশিরভাগেরই নাম ও পরিচয় অজানা।

ইউরোপে অনুপ্রবেশের আরেকটি পরিচিত রুট ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ল্যাম্পেদুসা দ্বীপ। তিউনিসিয়া’সহ উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এই দ্বীপে পৌঁছান অভিবাসীরা। তবে অনেকেই হারিয়ে যান উত্তাল সাগরে। যাদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায় তাদের দাফন করা হয় দ্বীপটির স্থানীয় কবরস্থানে। সাধারণত এই সমাধিক্ষেত্রের বেশিরভাগ এপিটাফেই নেই মৃতের নাম ও পরিচয়। শুধু লেখা ‘অভিবাসী’।

রাবারের নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী কিংবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মৃত্যু ঘটে নিজ দেশরই সমুদ্র সীমানায়। ইউরোপে পৌঁছাতে ব্যর্থ সেই অভিবাসীদের ঠিকানা মৌরিতানিয়ার এই সাঈদ কবরস্থান।

এর আগে, ২০২৪ সালে দেশটির উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয় ৫শ’র বেশি মরদেহ। চলতি বছরের প্রথম কয়েক মাসে পাওয়া গেছে শতাধিক অভিবাসীর মরদেহ।