এতে বলা হয়, দুই দেশের কর্মকর্তারা মানবিক সহায়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, উন্নয়ন সহায়তা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক বন্ধনসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বেশ জোর দিয়েছে। এছাড়াও জাতীয় স্বার্থে যৌথ প্রকল্পের ওপর বেশ জোর দিয়েছে তারা। এক্ষেত্রে ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারত-আফগানিস্তানের স্থল সীমান্তের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন বিক্রম মিসরি। দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে কাবুলের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে আরও মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। সংশ্লিষ্ট খাতে ওষুধ সরবরাহ এবং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও তুলে ধরেছে দিল্লি। আফগান নাগরিক এবং তাদের সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় সমর্থন অব্যাহত রাখায় ভারত সরকারের প্রশংসা করেছেন কাবুলের মন্ত্রী।
আফগান জনগণের জরুরি উন্নয়নমূলক চাহিদা পূরণে সাড়া দেয়ার জন্য নয়াদিল্লি কাবুলকে তার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বর্তমান চাহিদার আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, দ্রুতই উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত হবার কথা বিবেচনা করবে ভারত। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি কাবুলের সংবেদনশীলতার কথা তুলে ধরেন এবং এই বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে আফগানিস্তানের জন্য মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে তরান্বিত করতে চাবাহার বন্দরের ব্যবহারকে উৎসাহিত করার বিষয়েও একমত হয়েছে উভয় দেশ।