
বিশ্বজুড়ে এখন চীনের যুদ্ধবিমান ঘিরে আলোচনার ঝড়। ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক যুদ্ধে জে-১০সি মডেলের সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছে চীনা বিমান বাহিনী। এবার সামনে এলো চীনের অভ্যন্তরীণভাবে নির্মিত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-১৫টি।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এই নতুন ফাইটার জেট। চীনের বিমানবাহী রণতরী শ্যাংডং-এ সফলভাবে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে এটি। এই রণতরী হংকং উপকূলে টানা পাঁচদিন টহল দিয়েছে, আর সেই সফরেই চোখে পড়ে জে-১৫টি যুদ্ধবিমান।
রণতরীতে থাকা যুদ্ধবিমানটি দেখতে জড়ো হন হাজারো হংকংবাসী। আনুমানিক ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ রণতরীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নতুন ফাইটার জেটটি ঘুরে দেখেন।
জে-১৫ যুদ্ধবিমানের উন্নত সংস্করণ জে-১৫টি বর্তমানে চীনের অন্যতম প্রধান সামরিক সম্পদে পরিণত হয়েছে। ‘ফ্লাইং শার্ক’ নামে পরিচিত এই যুদ্ধবিমানটিতে রয়েছে উন্নত রাডার, সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনের ক্ষমতা, এবং স্বল্প দৈর্ঘ্যের রণতরী রানওয়ে থেকে পূর্ণ পেলট সহ উড্ডয়নের সক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন সাগরে আধিপত্য ধরে রাখা এবং তাইওয়ান-হংকং ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই জেটকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর কড়া নজর রয়েছে।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে পাকিস্তান রাফাল ভূপাতিত করতে ব্যবহার করেছিল চীনের জে-১০সি যুদ্ধবিমান। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র। এই সফলতা দেখে চীনা যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে তেহরানও।
এখন পর্যন্ত চীন অন্তত সাতটি জে-১৫ টি তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যার আরও বৃদ্ধি ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবস্থাপনা ও আকাশ-সমুদ্র মিলিয়ে অভিযানে সক্ষমতা—সব মিলিয়ে জে-১৫টি এখন চীনের সামরিক শক্তির অন্যতম প্রতীক।