Image description

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বিশেষ নৈশভোজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন। তার মূল বক্তব্যগুলো হলো—

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ বিষয়ে

“আমরা আশেপাশের দেশগুলো— মানে যারা ইসরায়েলের চারপাশে আছে তাদের কাছ থেকে দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। প্রত্যেকটি দেশই ভালোভাবে সহযোগিতা করেছে। তাই কিছু একটা ভালোই হবে।”

 

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

“আমি জানি না।”

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা

“ইরানের ওপর আমাদের খুব কঠিন, যেটাকে বলা হয় ‘বাইটিং’ নিষেধাজ্ঞা আছে। আমি চাই সঠিক সময় হলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া যাক। ওদের পুনর্গঠনের একটা সুযোগ দেওয়া যাক, যেন ওরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের গড়ে তোলে। ‘আমেরিকাকে মৃত্যু’, ‘ইউএসএ-কে মৃত্যু’, ‘ইসরায়েলকে মৃত্যু’— এসব বলার বদলে যেন ওরা বদলায়। ওরা একসময় মধ্যপ্রাচ্যের দাপুটে ছিল, এখন আর তা নয়।”

ইরানের সঙ্গে আলোচনা

“আমরা ইরানের সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করেছি এবং তারা আলোচনায় আসতে চায়। আমার মনে হয়, যখন আমরা তাদের তিনটি স্থাপনায় আঘাত করি, তখন তারা বেশ ধাক্কা খেয়েছে।”

ইরানে আরেকটি মার্কিন হামলা হবে কি?

“আমি আশা করি, আমাদের তা করতে হবে না। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে, ওরা সেটা চাইবে বা আমরা চাইব। তারা দেখা করতে চায়। তারা সমাধান করতে চায়।”

 

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শেষ?

“আমার দৃষ্টিতে, আমি আশা করি এটা শেষ। হ্যাঁ, আমি মনে করি ইরান শান্তি চায়। আমি সম্পূর্ণভাবে তাতে সম্মত। তবে যদি তা না হয়, আমরা প্রস্তুত, সক্ষম এবং ইচ্ছুক। কিন্তু আমি মনে করি তা দরকার হবে না।”

ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো

“আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের তা করতে হবে। ওদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা থাকতে হবে। ওরা এখন প্রচণ্ড আঘাত পাচ্ছে। আমরা মূলত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠাব।”

শুল্ক আরোপের ১ আগস্ট সময়সীমা

“আমি বলব এটা কঠোর সিদ্ধান্ত, কিন্তু একদম শতভাগ কঠিন নয়। যদি তারা ফোন করে এবং বলে অন্যভাবে কিছু করতে চায়, আমরা সে সম্ভাবনার জন্য উন্মুক্ত থাকব। তবে আপাতত এটাই অবস্থা।”

ট্রাম্পের এসব মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ— বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, পাশাপাশি কূটনৈতিক দরজাও খোলা রাখছে।