
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা রবিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় তার দেশ সহজে কোনো আপস করবে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের যে হুমকি দিয়েছেন, তা ঠেকাতেই টোকিও এখন জোরালোভাবে আলোচনায় যুক্ত হয়েছে।
একটি টেলিভিশন টকশোতে তিনি বলেন, “আমরা সহজে আপস করব না। এ কারণেই আলোচনা সময় নিচ্ছে এবং কঠিন হয়ে উঠছে।”
চলমান আলোচনা দ্রুত শেষ করার জন্য জাপান তড়িঘড়ি করছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী বুধবার।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তবে জাপানসহ কিছু দেশের জন্য তিনি ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন—আলোচনার সুযোগ দিতে। সেই বিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। এর পর যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, তিনি জাপানকে একটি চিঠি পাঠাবেন, যাতে “৩০ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ বা আমরা যেটা ঠিক করব, সেই হারে শুল্ক পরিশোধের” দাবি থাকবে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে তিনি “অন্যায্য” বলে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষ করে, জাপান যাতে আরও বেশি পরিমাণে মার্কিন গাড়ি ও চাল আমদানি করে, সে ব্যাপারে তিনি জোর দিচ্ছেন।
জাপানের পক্ষ থেকে বাণিজ্যদূত রিওসেই আকাজাওয়া গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
টকশোতে ইশিবা বলেন, “আমরা মিত্রদেশ, কিন্তু আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। জাপান যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী এবং সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী দেশ। তাই আমাদের সঙ্গে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যে বলছে বাণিজ্য ‘অন্যায্য’, সেটা কিভাবে? কোন কোন দিক থেকে? এসব দাবি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।”
একই দিন আরেকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ইশিবাকে যখন ট্রাম্পের চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি জানান, “সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।” সূত্র: আরব নিউজ