
গাজা উপত্যকায় হামাসের নতুন সামরিক শাখার কমান্ডার ইজ্জ আল-দিন আল-হাদ্দাদ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় আরও শক্ত অবস্থান নেবেন বলে আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
সংবাদপত্রের সূত্র অনুসারে, ২০২৫ সালের মে মাসে ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ববর্তী কমান্ডার মুহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যা করার পর আল-হাদ্দাদ গাজায় হামাসের সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সংবাদপত্রটি অনুমান করছে, নতুন নেতার অধীনে হামাস 'অবশিষ্ট সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আগে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির দাবিতে তার অবস্থানে অটল থাকবে'। আর ইসরায়েল হামাসের সামরিক সম্ভাবনাকে ধ্বংস করতে এবং গাজায় তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায়।
একটি সূত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছে, আল-হাদ্দাদ সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, হয় হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি 'সম্মানজনক চুক্তি' করবে, অন্যথায় যুদ্ধটি 'মুক্তির যুদ্ধ অথবা শহীদের যুদ্ধে' পরিণত হবে।
পূর্ববর্তী প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ গাজা বন্দোবস্ত উদ্যোগে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, দশ জন জিম্মিকে মুক্তি এবং গাজা উপত্যকায় নিহত ১৮ জন জিম্মির মৃতদেহ স্থানান্তর, পাশাপাশি দক্ষিণ গাজা উপত্যকাজুড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে খান ইউনিস এবং রাফা শহরের মধ্যে অবস্থিত একটি স্থান থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থা রয়েছে।
এতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে কমপক্ষে ১,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির কথাও বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১০০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আরব রয়েছে। পাশাপাশি হাজার হাজার ট্রাক ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।
হামাস এখনো এই চুক্তিটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে, কিন্তু ইসরায়েল এই চুক্তিটি মেনে নিয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন।