Image description

ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে জানিয়েছে তারা আলোচনায় ফিরতে চায়। কিন্তু আলোচনা চলাকালে নতুন করে হামলার মতো খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। কূটনৈতিক আলোচনা আবার শুরু করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ইরানের ওপর নতুনভাবে হামলার চিন্তা বাতিল করতে হবে। বিবিসি

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানসি। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ইরান শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সক্ষম। গবেষণা কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সামগ্রীতে প্রবেশাধিকার পায়নি বলেই ইরানকে নিজের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। কোন মাত্রায় থাকবে বা কতটা সক্ষমতা থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তোমার সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থাকবে না, শূন্য মাত্রায় থাকবে এবং তুমি একমত না হলে তোমার ওপর বোমা মারব, এগুলো জঙ্গলের আইন। গোপনে ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে এমন অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বললেও ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন আলোচনায় ফেরার কোনো তারিখ ঠিক হয়নি এবং এ আলোচনার এজেন্ডা কী হবে তা-ও তিনি জানেন না। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন-আমরা যখন আলোচনায় থাকব তখন কি আবার হামলার পুনরাবৃত্তি হবে?

নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি বা বিনিয়োগের পরিবর্তে ইরান কোনো সমঝোতায় যাবে, এমন কোনো সম্ভাবনা আছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন আমরা এ ধরনের প্রস্তাবে সম্মত হব?’ ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল ১৩ জুন। ওমানের রাজধানী মাস্কটে তার দুই দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনায় বসার কথা ছিল। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র পরে নিজেই সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের কয়েকটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা করে মার্কিন বোমারু বিমান।

ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীকেও হত্যা করেছে। তাদের অভিযোগ ছিল তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ইরান এর জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ১২ দিনের এ সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বললেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মারাত্মক ক্ষতি হলেও পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি।