
ইরান-ইসরাইলের সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে আলোচিত ইস্যু ছিল আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা আলি শামখানির ‘মৃত্যু’র খবর। তবে শনিবার নিজের ‘মৃত্যু’র গুঞ্জন উড়িয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরআইবি’র এক সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছেন তিনি।
হামলার পর জনসমক্ষে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হয়ে ওই সাক্ষাৎকারে শামখানি জানান, ইসরাইলকে ভয় পান না তিনি। কীভাবে ইসরাইলি হামলার পরে তিনি বেঁচে গেলেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
গত ১৩ জুন দখলদার ইসরাইল দাবি করে তাদের হামলায় শামখানি নিহত হয়েছেন। ইরানও প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত করে। ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলায় শামখানির ব্যক্তিগত বাসভবন বিধ্বস্ত করে ইসরাইল। হামলার পর প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও পরে জানা যায় তিনি জীবিত আছেন। গত সপ্তাহে শামখানি নিজেই তার বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, ‘বেঁচে থাকা আমার ভাগ্য।’
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরআইবিতে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ১৩ জুন ভোরে যখন ইসরাইলের হামলা শুরু হয়, তখন আমি ঘুম থেকে ওঠেছি। নামাজ পড়ছিলাম। আচমকাই আমার গোটা বাড়ি ভেঙে পড়ে।
শামখানি জানান, কিছুক্ষণের জন্য আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তবে যখন জ্ঞান ফিরে আসে, তখন দেখি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছি। তিন ঘণ্টা ওই অবস্থায় ছিলাম। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
শামখানি বলেন, ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বের হওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। অনেকক্ষণ পর উদ্ধারকারী দলকে দেখতে পাই। তাদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলেছিলাম ‘আমি এখানে আছি!’ আমার চিৎকার শুনে উদ্ধারকারী দল এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।