
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেছেন, ‘এ দেশে শীঘ্রই আরেকটা বড় আন্দোলন হতে যাচ্ছে, সেটাও হবে চাকরির পরীক্ষাগুলোকে কেন্দ্র করেই।’ সোমবার (৩০ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমার মনে হয় এ দেশে শীঘ্রই আরেকটা বড় আন্দোলন হতে যাচ্ছে, সেটাও হবে চাকরির পরীক্ষাগুলোকে কেন্দ্র করেই। আপনারা জানেন, ৪৪ তম বিসিএসের প্রায় ১২ হাজার ক্যান্ডিডেট এর সাথে এই রাষ্ট্র আরেকটা বড় প্রতারণা করতে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে চাকরি দেওয়ার মতো অসংখ্য পদ খালি থাকা সত্ত্বেও, সেগুলো সব রেখে দেওয়া হচ্ছে কোন এক রহস্যজনক কারণে।
এমনকি ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলের বিগত ৪০তম, ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএস-এ চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে পদসংখ্যা বাড়ানো হলেও, জুলাইয়ের রক্তের উপর মাড়িয়ে গঠিত হওয়া সরকারের আমলে পদসংখ্যা বৃদ্ধির কোন ইতিবাচক লক্ষণ না দেখে সবাই সত্যিকার অর্থেই শঙ্কিত হচ্ছে।
কিন্তু এই দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে। তার কার্যালয়ে জনপ্রশাসন সচিব থেকে পদসংখ্যা বৃদ্ধির চিঠি গেলেও সেটাতে প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেননি বলেই এখন সবার কাছে বিবেচিত হচ্ছে।
চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে যেই ধারণা গ্রো করছে, সেটার প্রভাব ভয়াবহ হবে। সবার মধ্যে ধারণা তৈরি হচ্ছে হয়তো আবার সবকিছু দলীয়করণ হতে যাচ্ছে। জেনারেল ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডারে যথেষ্ট পদ থাকার পরেও ক্যাডার পোস্ট বৃদ্ধি না করার পেছনে কোন যুক্তি তো নেই!
সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হওয়া আমার যোগ্য ক্যান্ডিডেটও আছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদও খালি আছে। কিন্তু এখন আপনি নিয়োগ দিচ্ছেন না! এটা তো চরম অন্যায়। ইন্টেরিম আমলেই একটা বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে স্বচ্ছতার সাথে রাষ্ট্রের শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারতো। সেটাও হয়নি।
তাছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘায়িত সময়ের বিসিএস হচ্ছে ৪৪তম বিসিএস। এই বিসিএসে এক ভাইভা দুইবার করে দিয়েছে ক্যান্ডিডেটরা। বিসিএস চক্রে চার বছর ধরে ঘূর্ণায়মান পরীক্ষার্থীরা সফলতার সাথে প্রিলি, লিখিত, ভাইভা উত্তীর্ণ হলেও আপনাদের সদিচ্ছার অভাবে খালি হাতে ফিরতে হবে তাদের।
জেনারেল ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডারে যথেষ্ট পদ থাকার পরেও ক্যাডার পোস্ট বৃদ্ধি না করার রহস্যকে ঘিরে সবার মধ্যে যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে, সেটা কীভাবে মোকাবিলা করবেন জানি না। যাদের আন্দোলনের কারণে আজ আপনারা সরকারে তাদের কথা কেন শুনছেন না সেটাও বোধগম্য হচ্ছে না।
প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কান পর্যন্ত এই খবর টা পৌঁছানো উচিত। ‘খালি পদ থাকা সত্ত্বেও ড. ইউনূস পদ বাড়াচ্ছে না’— উনার ওপর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উঠা এই অভিযোগ, উনার জানা উচিত।