Image description

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হামলার দাবি ঘিরে আবারও প্রকাশ্যে এল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব।

ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, গত রোববার সকালে তিনি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলোতে যে সামরিক হামলার নির্দেশ দেন, তা “সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে” তেহরানের পরমাণু সক্ষমতা।

কিন্তু ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করে একটি গোপন মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন জানায়, হামলায় প্রকৃত ক্ষতি ছিল সীমিত। রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন তথ্য ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং প্রতিবেদন প্রচারকারী গণমাধ্যমকে দোষারোপ করে সেটিকে বাতিল ঘোষণা করে।

 

এই ঘটনায় হেগ-এ অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনের সময়ও উত্তাপ ছড়ায়। সেখানে সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ওই ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন।

 

পুরোনো দ্বন্দ্বে নতুন মোড়

তবে গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়ন নিয়ে ট্রাম্পের এই বিরোধ নতুন নয়। এর আগেও তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিশ্লেষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন—বিশেষত রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইরান বিষয়ে।

এই সব ক্ষেত্রেই ট্রাম্প গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টকে সন্দেহের চোখে দেখেছেন এবং বারবার তা প্রকাশ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

কী বলছে সর্বশেষ দ্বন্দ্ব?

• ট্রাম্প বলছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় তার নির্দেশিত হামলায় বড় ধরনের ধ্বংস হয়েছে।
• গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, ক্ষয়ক্ষতি সীমিত; পরমাণু সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে অনেকটাই।
• ট্রাম্প প্রশাসন তথ্য ফাঁসকারীদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে গণমাধ্যমের কভারেজকে “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলছে।

এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রশাসনের অভ্যন্তরে মতবিরোধের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে। ট্রাম্পের বক্তব্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাঝে এই দ্বন্দ্ব এখনো চলছে, এবং তা আগামী মার্কিন নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্রঃ আল জাজিরা