Image description

সোমবার হোয়াইট হাউজের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইরানি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হঠাৎ করেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেন। এতে মধ্যস্থতা করতে সহায়তা করেছে কাতার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় তার প্রশাসনের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাকেও অবাক করে দিয়েছিলো। ইসরাইল এখনও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেনি।

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার তিন ঘন্টার মধ্যে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইল থেকে নতুন আক্রমণ শুরু হয়। এতে প্রশ্ন উঠেছে সব পক্ষ এতে সম্মত হয়েছে কিনা।

কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সহায়তা পেয়েছেন ট্রাম্প। যারা গত দুই মাস ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করার জন্য একটি চুক্তির প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

ওই কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে আরো বলেন, এই তিনজন ব্যক্তি ইরানিদের কাছে বার্তা পৌঁছাতে ‘প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ’ চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করেছিলেন। ইরানের কাছ থেকে আর কোনো হামলার শিকার না হওয়ার শর্তে ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

তবে ইরান কোন কোন শর্তে সম্মত হতে পারে, এমনকি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ কোথায় আছে ইরান সে বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি।