
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি আদালতে একটি রিট করা হয়। বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ রিটটি করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি তাহসিন আলী ও হাবিবুল গণির আদালত ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন।
পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে ডাকসু নির্বাচন হতে কোনো বাধা থাকছে না।
সোমবার দুপুরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন।
সোমবার এসব নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন আপ বাংলাদেশের নেতা রাফে সালমান রিফাত। তিনি তার পোস্টে তিনজনকে ডাকসু নির্বাচনের জন্য দায়ী করেছেন।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ফাঁদটা খুব মেটিকুলাস। মেয়েটা (বি এম ফাহমিদা আলম) রিট করেছেন ছাত্রলীগের অর্নির হেল্প নিয়ে, নিঝুম মজুমদারও হেল্প করেছেন। শাহরিমা তানজিন অর্নি হচ্ছেন ল’ ডিপার্টমেন্টের টিচার, ছাত্রলীগে সাদ্দামের অনুসারী ছিলেন।’
‘ঢাবিতে গ্যাঞ্জাম, ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে পারলে আওয়ামী ডিজাইন সাক্সেসফুল।’
‘অলরেডি দেশের অন্য একাধিক ভার্সিটিতে ঠুনকো কারণে গ্যাঞ্জামের আগুন লাগছে। সবার মাথা ঠাণ্ডা রেখে দৃঢ়পদে সঠিক সিদ্ধান্তে আগানোই এখন সবচেয়ে অপটিমাম সলিউশন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে আপ বাংলাদেশ-এর নেতা রাফে সালমান রিফাত তার ফেসবুক পোস্টে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি নির্বাচন বানচালের চেষ্টার জন্য তিনজনকে দায়ী করেছেন।
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে বামজোট মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। এর ফলস্বরূপ, বিচারপতি তাহসিন আলী ও হাবিবুল গণির আদালত ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেন।
তবে, এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। এর ফলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের বাধা দূর হয়ে যায়।
রাফে সালমান রিফাত তার পোস্টে এই পুরো ঘটনাকে একটি পরিকল্পিত 'ফাঁদ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বি এম ফাহমিদা আলমকে এই রিট করতে সহায়তা করেছেন শাহরিমা তানজিন অর্নি এবং নিঝুম মজুমদার।
রিফাত তার পোস্টে আরও বলেন যে, শাহরিমা তানজিন অর্নি একজন আইন বিভাগের শিক্ষক এবং ছাত্রলীগে সাদ্দামের অনুসারী। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করা হলে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা সফল হবে।
সবশেষে, রিফাত তার পোস্টে সবাইকে শান্ত থাকার এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “সবার মাথা ঠাণ্ডা রেখে দৃঢ়পদে সঠিক সিদ্ধান্তে আগানোই এখন সবচেয়ে অপটিমাম সলিউশন।”
এই পুরো ঘটনার মাধ্যমে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অস্থিরতার পেছনে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।