পাকিস্তানি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির যখন বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিচ্ছেন, তখন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালোচ লিবারেশন আর্মি একটি বিবৃতি জারি করে দাবি করেছে যে তারা অশান্ত বেলুচিস্তান প্রদেশের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, মুনির "কাশ্মীর সমস্যা"র শান্তিপূর্ণ সমাধানের আপাত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কথা বলেন এবং ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে 'আইনত অগ্রহণযোগ্য' বলে দাবি করেন।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে -বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিবেশের উপর মন্তব্য করে, সেনাপ্রধান উদীয়মান সংঘাতের চরিত্রের উপর আলোকপাত করেছেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিনা উস্কানিতে সামরিক আগ্রাসন ব্যবহারের জন্য ভারতের ক্রমবর্ধমান বিপজ্জনক প্রবণতার উপর জোর দিয়েছেন। যেকোনো আগ্রাসনকে পরাজিত করার সংকল্প এবং সমগ্র সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির হুমকি মোকাবেলা করার ক্ষমতা পুনর্ব্যক্ত করে, সেনাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন যে পাকিস্তান কখনই জোর করে চাপে পড়বে না এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করার শত্রুতাপূর্ণ পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য, সেনাপ্রধান দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কাশ্মীর বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। কিন্তু মুনির যখন কথা বলছিলেন, তখনও বালোচ বিদ্রোহ তার উপস্থিতি প্রকাশ করছিল। পাকিস্তানে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বিএলএ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করে যে তারা বেলুচিস্তানের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের তৎপরতা তীব্রতর করে এই গোষ্ঠীটি ফিল্ড মার্শালের সফরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তাদের ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেছে, যা সম্ভবত অশান্ত প্রদেশে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের বর্ণনাকে ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে একটি পদক্ষেপ।
বিএলএ জানিয়েছে,' বিএলএ যোদ্ধারা সুরাবের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, ব্যাংক, লেভি (আধাসামরিক বাহিনী) এবং পুলিশ স্টেশন সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দখল করেছে। কোয়েটা-করাচি এবং সুরাব-গিদার সড়কে টহল এবং তল্লাশি চলছে, শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। 'এদিকে, মুনির আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াই তার যৌক্তিক পরিণতি অর্জন না করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে '।
সূত্র : দ্য প্রিন্ট
