
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, নারীদের ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরে তারা ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে আল-মাহাত্তা পাড়ায় একটি সাদা বাস আসতে দেখেছেন, যা বাস্তুচ্যুত নারীদের বহন করছে বলে মনে হচ্ছিল।
প্রতিবেদন অনুসারে, নয়জন নারীর পোশাক পরিহিত ইসরায়েলি সেনা বাস থেকে নেমে সারহান পরিবারের একটি বাড়িতে প্রবেশ করে। যা আগেই ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এর কিছুক্ষণ পরেই ওই এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যায়। গোপন ইসরায়েলি ইউনিট ভারী বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুত পালিয়ে যায়।
অভিযানের সময়, ইসরায়েলি বাহিনী নাসের সালাহ আল-দিন ব্রিগেডের কমান্ডার আহমেদ কামেল সারহানকে হত্যা করে। তার স্ত্রী ও সন্তানকে অপহরণ করে।
২০ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধের পর তদন্তকারীরা রাইফেলের খোসা, গুলির খোসা, ধোঁয়াটে গ্রেনেড, নারীদের পোশাক, জিনিসপত্র এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের লাগেজের মতো দেখতে একটি ছদ্মবেশী খালি বাক্স খুঁজে পান।
ইসরায়েলের ইয়েদিওথ আহরোনোথ সংবাদপত্র জানিয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য ছিল সারহানকে অপহরণ করা এবং তার কাছ থেকে ইসরায়েলি বন্দীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা। কিন্তু এটি ব্যর্থ হয়েছে।
গাজার বিভিন্ন অংশে তীব্র বিমান হামলার মধ্যে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। যাতে ছয়জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ গাজার এলাকায় নতুন করে বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই এই ঘটনা ঘটে।
সূত্র: প্রেস টিভি