
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আনসারাল্লাহ’ ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রোববার সংঘটিত এ হামলার আগে বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলার কথাও জানায় হুতিরা।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, হামলায় ব্যবহৃত হয় একটি হাইপারসনিক ‘প্যালেস্টাইন-২’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি ‘জুলফিকার’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। তিনি একে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন’ বলে জানান, এ হামলায় বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে ও ‘লক্ষাধিক ইসরায়েলি নাগরিক বোমাশেল্টারে আশ্রয় নেয়।’
তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও হামলার কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিশ্চিত করেনি।
এর আগে রোববার হুতিরা জানায়, তারা বেন গুরিওন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ‘ইয়াফা’ নামক ড্রোন পাঠিয়েছিল।
হুতিরা দাবি করেছে, গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক অভিযানের’ জবাবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। তারা মুসলিম বিশ্বকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতাকে ‘মানবিক বিপর্যয়ে পরোক্ষ সহযোগিতা’ হিসেবে আখ্যা দেয়।
এই ঘোষণার কয়েক দিন আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুতিদের চলমান হামলার জবাবে হুতির শীর্ষ নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি সহ নেতৃত্ব পর্যায়ে হত্যার হুমকি দেন। তিনি বলেন, যেভাবে হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের টার্গেট করা হয়েছে, তেমনভাবেই হুতিদেরও করা হবে।
উল্লেখ্য, হুতি বিদ্রোহীরা গাজার যুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করে ইসরায়েল ও লোহিত সাগর অঞ্চলের লক্ষ্যবস্তুতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, গাজায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।