
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরব ও ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ এই সফরে ট্রাম্প বারবার "মুসলিম জনগণের সম্মান" ও "শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের" কথা বললেও, বিশ্লেষকরা বলছেন—এই প্রীতি আসলে একটি কৌশলগত চাল, যার পেছনে রয়েছে ইরানকে চাপে রাখার গভীর পরিকল্পনা।
সৌদি আরবে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “মুসলিম বিশ্ব আমাদের মিত্র, সন্ত্রাসবাদই আমাদের একমাত্র শত্রু।” তিনি আরব নেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে "সন্ত্রাসবাদবিরোধী জোট" গঠনের ঘোষণা দেন, যার কেন্দ্রে রয়েছে সৌদি আরব। কিন্তু এই ঘোষণাকে অনেকেই দেখছেন ইরানবিরোধী এক নতুন ফ্রন্ট হিসেবে।
ফাঁস হওয়া এক কূটনৈতিক সূত্রের দাবি:
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলিম বিশ্বে বিভক্তি তৈরি করে ইরানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করা। এই সূত্র অনুযায়ী, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে ইরানকে প্রতিরোধ করাই ট্রাম্পের সফরের মূল লক্ষ্য।
ইরানের স্পষ্ট বার্তা: "মাথা নোয়াব না"
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের জনগণের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করলে আমরা চুপ থাকবো না। মুসলিম বিশ্বের ঐক্য চায় ইরান, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতি আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য করছে।”
বিশ্লেষকদের মত:আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই সফর শান্তির চেয়ে সংঘাতের বার্তা বহন করছে। একদিকে মুসলিম প্রীতি দেখানো, অন্যদিকে নির্দিষ্ট কিছু দেশকে নিশানা করা—এই দ্বিচারিতা মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।
শেষ কথা:
ট্রাম্পের এই সফর যে শুধু সৌজন্য সফর নয়, তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ‘মুসলিম প্রীতি’র মুখোশের আড়ালে যদি কোনো ভূ-রাজনৈতিক খেলাই থাকে, তবে ইরান তা মুখ বুঁজে সহ্য করবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই প্রীতির কূটনৈতিক নকশা কতটা কার্যকর হয়, আর কতটা ধাক্কা খায় মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতায়।