কলোরাডোর এক ব্যক্তি ‘এখন ট্রাম্পের আমেরিকা’ বলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের একজন অধিবাসীর উপর হামলা চালিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হামলার শিকার ওই ব্যক্তি একজন টেলিভিশন সাংবাদিক। তিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ডেট্রয়েটের অধিবাসী।
হামলাকারীর নাম প্যাট্রিক থমাস ইগান(৩৯)। গত ১৮ ডিসেম্বর গ্র্যান্ড জংশন রেলওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন স্থানীয় টিভি চ্যানেল কেকেসিও’র সাংবাদিক জারন অ্যালেক্সের গাড়িকে প্রায় ৪০ মাইল ধরে অনুসরণ করছিলেন হামলাকারী থমাস ইগান। গ্র্যান্ড জংশনে পৌঁছানোর পর ইগান অ্যালেক্সের গাড়ির পাশে এসে থামেন।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাড়ি থামিয়েই অ্যালেক্সকে আক্রমণাত্মক কিছু প্রশ্ন করেন ইগান। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি মার্কিন নাগরিক? এটা এখন ট্রাম্পের আমেরিকা। আমি একজন নৌ-সৈনিক। তোমার মতো লোকদের থেকে আমি এই দেশকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছি।’
তবে ইগানের এমন ব্যবহারে কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না অ্যালেক্সের। তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাঁর কর্মস্থলে প্রবেশ করছিলেন। তখন পেছন ইগান তাঁকে তাড়া করেন। তিনি অ্যালেক্সকে ধরে তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইগান অ্যালেক্সকে মাটিতে ফেলে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা ছুটে এসে অ্যালেক্সকে উদ্ধার করেন।
কেকেসিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যালেক্স ডেট্রয়েটের বাসিন্দা। তিনি একটি সংবাদ সংগ্রহের জন্য গ্র্যান্ড জংশনে যান।
অ্যালেক্স জানান, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসী হওয়ায় তাঁর উপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ প্যাট্রিক ইগানকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ, ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ ও হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হবে কি না আগামী বৃহস্পতিবার জানা যাবে। ইগানের আইনজীবী রুথ সুইফট এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
কেকেসিও টেলিভিসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার স্টেসি স্টুয়ার্ট স্টেশনের এই ঘটনার বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনের বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।