
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে এবং দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত পরিহারে উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার স্থানীয় সময় রাতে নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানানো হয়। একইসঙ্গে ভারতের পাকিস্তানে ‘আসন্ন হামলার ঝুঁকি’ বিষয়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য নিরাপত্তা পরিষদে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তেজনা প্রশমন ও সামরিক সংঘাত পরিহারে সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংঘাতগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য বলা হয়।’
তবে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমবার বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, যেকোনো সামরিক সংঘাতকে পরিহার করতে হবে। এখন সময় সর্বোচ্চ সংযমের।
গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। হামলার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। দিল্লির দাবি, হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীর দুজন পাকিস্তানি নাগরিক।
অপরদিকে ইসলামাবাদ এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে এ ঘটনার স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য যে কোনো প্রকার সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
ঘটনার জেরে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক প্রত্যাহার, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও ইসলামাবাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া কূটনৈতিক প্রত্যাহার ও শিখ পুণ্যার্থী ছাড়া সব ভারতীয় নাগরিকের জন্য পাকিস্তানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে স্বাক্ষরিত সিমলা শান্তিচুক্তি প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ।