
গাজায় চলমান ভয়াবহ ক্ষুধা ও অবরোধের পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধবিরতির আলোচনা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হামাস। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম বলেছেন, ‘যতক্ষণ না ইসরায়েল গাজায় ক্ষুধা ও গণহত্যার যুদ্ধ বন্ধ করছে, ততক্ষণ কোনো আলোচনার মানে নেই।’ তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন—ইসরায়েলকে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে বাধ্য করতে হবে।
ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য, পানি, ওষুধ সবই ফুরিয়ে গেছে। মানুষ বাসি বা পচা খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে খেতে পারছেই না। ফ্যামিন বা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি চরমে, বিশেষত ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে। এক মা জানিয়েছেন, তার চার মাসের শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে—ওজন ছিল মাত্র ২.৮ কেজি।
এদিকে ফাঁস হওয়া এক ইসরায়েলি পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজাবাসীদের জন্য সপ্তাহে মাত্র একটি খাদ্য প্যাকেট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি, জাতিসংঘ নয়, প্রতিদিন মাত্র ৬০টি ট্রাক ঢুকতে পারবে, যেখানে প্রয়োজন ৬০০ ট্রাক। জাতিসংঘ এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অমানবিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
অন্যদিকে রেড ক্রস বলেছে, মানবিক সহায়তা বাধাহীন প্রবেশ করতে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে, ইসরায়েলের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব আছে।
যখন শিশুরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে, তখন যুদ্ধবিরতির কথা আসলে হাস্যকর—এমনটাই বলছে হামাস। গাজাবাসী প্রতিদিনই মৃত্যু, বোমা, ক্ষুধা ও পিপাসার মুখে দিন কাটাচ্ছে। এখন প্রশ্ন—বিশ্ব আর কতদিন চুপ করে থাকবে?