
জেলে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ভয়াবহ হামলাকে “গভীরভাবে মর্মান্তিক ও দুঃখজনক” বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতকে দায়িত্বশীল আচরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে দেওয়া বার্তায় ইমরান খান বলেন, “পেহেলগামের ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। ২০১৯ সালের 'পুলওয়ামা অপারেশন'কেও ভারত 'ফলস ফ্ল্যাগ' হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিল। তখনও আমরা ভারতের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। এবারও একই চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের মতো ১৫০ কোটির দেশের উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করা। শান্তি আমাদের অগ্রাধিকার, তবে একে দুর্বলতা ভাবা উচিত নয়। পাকিস্তান যেকোনো ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দিতে সক্ষম এবং ২০১৯ সালে আমাদের সরকার সেই প্রমাণ দিয়েছিল।”
খান দাবি করেন, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর দমন-পীড়ন আরও বেড়েছে এবং এতে করে কাশ্মিরীদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আরও প্রবল হয়েছে। “আরএসএস মতাদর্শে পরিচালিত ভারত গোটা অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে,” বলেন তিনি।
ইমরান খান পাকিস্তানের বর্তমান সরকারকেও একহাত নেন। তিনি অভিযোগ করেন, “নওয়াজ শরিফ ও আসিফ জারদারির মতো স্বার্থপর নেতাদের কাছ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো দৃঢ় অবস্থান আশা করা বোকামি। বিদেশে তাদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা চুপ থাকে।”
এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতা উল্লাহ তারার জানান, ভারতের একটি সামরিক হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে পাকিস্তানের কাছে “বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য” রয়েছে। তিনি বলেন, “পেহেলগামের হামলাকে অজুহাত বানিয়ে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে। পাকিস্তান যেকোনো আগ্রাসনের জবাব কঠোরভাবে দেবে।”
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি এক গোপন বৈঠকে সেনাবাহিনীকে “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দিয়েছেন পেহেলগাম হামলার প্রতিক্রিয়ায়।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এ ঘটনায় পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।