
ছত্তিশগড়ের পর ঝাড়খন্ডে পুলিশের এনকাউন্টারে ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং তাদের কোবরা কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিবেক, যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করার মোদি সরকারের ঘোষণার অংশ হিসেবে নানা জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিনের অভিযান ছিল তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বোকারো জেলার লালপানিয়া এলাকার লুগু পাহাড়ে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গুলি বিনিময় শুরু হয়। ২০৯ কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন (কোবরা) এর জওয়ানরা অভিযান পরিচালনা করে। সংঘর্ষের সময় আট মাওবাদী নিহত হয়।
সিআরপিএফ একটি একে সিরিজের রাইফেল, তিনটি ইনসাস রাইফেল, একটি সেলফ-লোডিং রাইফেল (এসএলআর), আটটি দেশীয় বন্দুক এবং একটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ হতাহত হননি বলে প্রাথমিক সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযান শেষ হয়েছে। এখন চলছে উদ্ধার অভিযান।
এই বছর ছত্তিশগড়ে আলাদা আলাদা এনকাউন্টারে ১৪০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছত্তিশগড়কে দেশে বামপন্থী চরমপন্থীদের ‘শেষ ঘাঁটি’ বলে অভিহিত করলেও মাওবাদীদের উপস্থিতি এখনও অনেক রাজ্যেই রয়ে গেছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্র পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলা মাওবাদী কার্যকলাপে আক্রান্ত হয়েছে। মাওবাদীরা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি, নিরাপত্তা কর্মীদের উপর আক্রমণ এবং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মতো দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৯ এপ্রিল তাড়গাঁও থানার আওতাধীন এবং ভামরাগড় মহকুমার সীমানার মধ্যে বনাঞ্চলে একটি যৌথ মাওবাদবিরোধী অভিযানের সময় তাড়গাঁও পুলিশ এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলে চারজনকে আটক করে। আরও তদন্তের পর, সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হয় সাইলু ভূমায়া মুদ্দেলা রঘু ওরফে প্রতাপ ওরফে ইরাপা, জৈনি ভীমা খারতম ওরফে আখিলা ওরফে রামে, জানসি দোগে তালান্দি ওরফে গাঙ্গু, ম্যানিলা পিডো গাওয়াড়ে ওরফে সরিতাকে। পুলিশের রেকর্ডে এরা তালিকাভুক্ত কট্টর মাওবাদী।