Image description

ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে একটি চীনা ‘টিপট’ তেল পরিশোধনাগারও।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এর মাধ্যমে তেহরানের উপর চাপ বাড়ানোর নীতি নিয়েছে। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, এই পদক্ষেপ চীনা আমদানিকারকদের উপর চাপ বাড়াবে।

ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনরায় চালুর প্রচেষ্টায় দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতেই নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের।

এই পদক্ষেপটি এমন এক সময় এসেছে যখন ট্রাম্প প্রশাসন এই মাসে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করেছে। গত সপ্তাহে ওমানে এক দফা আলোচনা হয়েছে। এই সপ্তাহের শেষে রোমে দ্বিতীয় দফা আলোচনার কথা রয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, বুধবার একটি চীনা-ভিত্তিক স্বাধীন টিপট তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি অপরিশোধিত তেল কেনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা দ্বিতীয় চীনা স্বাধীন তেল পরিশোধনাগার।

ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যে কোনও তেল শোধনাগার, কোম্পানি বা দালাল যারা ইরানি তেল কিনবে বা তাদের তেল বাণিজ্যে সহায়তা করবে, তারা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল সরবরাহ চেইনকে সমর্থন দেওয়া সকল পক্ষকে লক্ষ্য করে তা ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ এই তেলের আয় ইরান তাদের সন্ত্রাসী সহযোগী ও মিত্রদের সহায়তায় ব্যবহার করে।’

চীনের এসব টিপট তেল শোধনাগারকে অতীতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়নি। কারণ তাদের মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ নেই। উল্লেখ্য চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে ইরানি তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।

ওয়াশিংটন আরও কয়েকটি কোম্পানি ও জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এগুলো চীনে ইরানি তেল পরিবহনে সহায়তা করছিল বলে দাবি করা হয়েছে।