
গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ও মালিকানায় থাকলে তা ‘ভাল জিনিস’ হবে বলে আবারও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি শক্তি যদি গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা নেয়, তাহলে তা একটি ভালো বিষয় হবে,’ বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে দেন — এবং এমন অনেক দেশ আছে যারা তা করতে রাজি — তাহলে আপনি একটা মুক্ত অঞ্চল গড়ে তুলতে পারেন। আপনি এটিকে বলতে পারেন ফ্রিডম জোন, এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, তিনি এখনও বুঝতে পারেন না ‘ইসরাইল কেন গাজা ছেড়ে দিয়েছিল।’
‘ওটা একরকমের অদ্ভুত জায়গা,’ বলেন ট্রাম্প। ‘আমি একে বলি — দারুণ একটা লোকেশন, কিন্তু যেখানে কেউই থাকতে চায় না।’
গাজা যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের প্রচারাভিযানে গাজা যুদ্ধ থামানোর অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি চাই যুদ্ধটা থেমে যাক, এবং আমার মনে হয় খুব বেশি দূরের ভবিষ্যতে না, এটা থেমে যাবে।’
তিনি জানান, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে তার প্রশাসন কাজ করছে, তবে স্বীকার করেন, ‘সব জিম্মিকে মুক্ত করা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।’
এদিকে জানুয়ারির অস্ত্রবিরতির সময় কিছু জিম্মি মুক্তি পাওয়ার পর নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল এখন ‘আরেকটি চুক্তির জন্য কাজ করছে যা সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আমরা সব জিম্মিকে মুক্ত করব, তবে পাশাপাশি গাজার ভেতরে হামাসের যে দমন-নিপীড়নমূলক শাসন — তাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করাও আমাদের লক্ষ্য, যাতে গাজার মানুষ নিজের ইচ্ছায় নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।’
নেতানিয়াহু আরও জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্পের ‘সাহসী পরিকল্পনা’ হিসেবে যেটি পরিচিত — সেটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখলের প্রস্তাব, যা তিনি তার শাসনামলের প্রথম দিক থেকেই কয়েকবার উত্থাপন করেছেন।
তবে এই পরিকল্পনাটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। আরবদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশ এটিকে ‘জাতিগত নির্মূলকরণ’ বা এথনিক ক্লিনজিংয়ের প্রস্তাব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।